খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু

উদ্বিগ্ন নর্থ ওয়েস্টার্নের শিক্ষার্থীরা, সময় বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ভর্তিসহ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। প্রতিষ্ঠার এক যুগ পার হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

২০১২ সালে খুলনার প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে ৬টি বিভাগের অধীনে সেখানে ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। বিপুল অংকের ভর্তি ও শিক্ষা ফি আদায়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছে। কিন্তু এক যুগেও তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারেনি। মূলত শর্ত লঙ্ঘন করে বছরের পর বছর ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম পরিচালনা করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুরুতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন খুলনার সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ট্রাস্টি বোর্ড দখলের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিকে বাদ দেওয়া হয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে ভবন নির্মাণের দরপত্রও বাতিল করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষার্থীরা বলেন, টাকা বাকি থাকলে আমাদের পরীক্ষায় বসতে দেয় না। নানাভাবে চাপ দিয়ে টাকা পরিশোধে বাধ্য করে। অথচ একযুগেও স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করেনি।

তারা বলেন, শত শত কোটি টাকা আয় করেও স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করতে না পারা ট্রাস্টি বোর্ডের ব্যর্থতা। এর তদন্ত হওয়া উচিত।

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ মো. এনায়েতুল বাহার বলেন, রূপসা সেতু সড়কের লবণচরা থানার পাশে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কেনা রয়েছে। নতুন ক্যাম্পাসের ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ত্রুটির কারণে দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য আমাদের কাজ চলছে। গত একবছরের আমাদের পদক্ষেপ তুলে ধরে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আশা করি, এটা সমাধান হয়ে যাবে।

খুলনা গেজেট/হিমালয়/এএজে/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!